বাউফলে হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালালেন শশুর বাড়ির লোকজন

বাউফলে হাসপাতালে গৃহবধূর লাশ ফেলে পালালেন শশুর বাড়ির লোকজন

মোঃ দেলোয়ার হোসেন,বাউফল :পটুয়াখালীর বাউফলে হাসপাতালে শাহিনুর বেগম (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ ফেলে শশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে । গত বৃহস্পতিবার বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্্ের ঘটনাটি ঘটেছে । গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু ছালাম খানের ছেলে জুয়েল খানের (২৮) স্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শাহিনুর বেগমকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ঘটিকার সময় বদিউল নামে তার চাচা শশুর বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করলে গাড়ি আনার কথা বলে তিনি পালিয়ে যান। চাচা শশুর বদিউলের ০১৭৩৬৬৭১৩৭৪ নম্বরে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানার পুলিশকে খবর দিলে রাত নয়টার সময় শাহিনুরের স্বজন ও পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যান । হাসপাতালের জরুরী বিবাগের দায়িত্বে থ্কা চিকিৎসক সুব্রত কুমার বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই গৃহবধূ মারা গেছে । স্থানীয় বাসিন্দা ও শাহিনুরের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে চার বছর আগে শাহীনুর প্রেম করে বিয়ে করেন বিলবিলাস গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম খানের ছেলে জুয়েলকে। তাঁদের সংসারে তিন বছরের একটি মেয়ে ও চার মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শাহীনুরকে তাঁর শাশুড়ি,ননদ যৌতুকের জন্য কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন। ঘটনাদিন শাশুড়ী সাথে ঝগড়া একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। জুয়েল ঢাকা জজকোর্টে এক আইনজীবির সহকারী হিসেবে কাজ করেন । শাহিনুরের ফুফু রওশন আরা (৪৫) বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়েছে শাহিনুর স্ট্রোক করেছে। হাসাপাতলে এসে লাশ দেখতে পাই। কোন মানুস পাইনি। লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে। অথচ মৃত্যু ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে আতœহত্যা করেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শাহীনুরকে তাঁর শাশুড়ি,ননদ যৌতুকের জন্য কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন। ঘটনাদিন শাশুড়ী সাথে ঝগড়া একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। শাহিনুর মেধাবী ছিল। ডিগ্রী পাশ করেছে। সে নিজে আতœহত্যা করেনি। মাস তিন আগে শাহিনুরে সিজার মাধ্যমে সন্তান হয়েছে।তাকে অসুস্থ শরীরে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এব্যাপরে থানায় একটি অপমৃত্যূ মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ শুক্রবার পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।